২০১৬ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার ২৯৪টি আসনে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এই নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হয়। ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল জোট না করে একক শক্তিতে ক্ষমতায় আসে।[১] ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনও ছয় দফায় আয়োজিত হয়েছিল।[২][৩] প্রথম দফাটি ৪ এপ্রিল ও ১১ এপ্রিল তারিখে রাজ্যের নকশালবাদী-মাওবাদী প্রভাবিত রেড করিডোর এলাকায় আয়োজিত হয়। পরবর্তী দফায় নির্বাচন হয় ১৭ এপ্রিল, ২১ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল ও ৫ মে তারিখে। উল্লেখ্য, পূর্ববর্তী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটায়।
প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল শ্লোগান ছিল ‘পরিবর্তন’। এই পরিবর্তনের অর্থ ছিল রাজ্যের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের পরিবর্তন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ বছরের শাসনে প্রধানত রাজ্যের নগরাঞ্চলের অধিবাসীদের অনেকে সরকারের আনীত পরিবর্তনগুলি নিয়ে কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।[৪] তাছাড়া কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ভোট একত্রিত করতে চাইছেন।[৫] নির্বাচনের আগে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি কিছু দুষ্কৃতি নদিয়া জেলার কালিয়াচকে থানা, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয় ও গণসম্পত্তি ভাঙচুর করে।[৬][৭] পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমনে ব্যর্থ হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।[৮][৯][১০] ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসেই ভারতের নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভারতে আগত ব্যক্তিদের ভোটদানের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য একটি সীমাবদ্ধ সীমানা পুনর্নির্ধারণের অনুমতি চায়।[১১] অনুমান করা হয়েছিল যে, ভারতীয় জনতা পার্টি এই নির্বাচনে অধিক সংখ্যক মুসলমান প্রার্থী দাঁড় করাবে।[১২] ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পরিশোধিত ভোয়ার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ভোটার-জনসংখ্যা অনুপাতে সারা দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল। এই অনুপাত ছিল ০.৬৮। সর্বশেষ তালিকা অনুসারে রাজ্যের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬.৫৫ কোটি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলেন ৩.৩৯ কোটি ও মহিলা ভোটার ছিলেন ৩.১৬ কোটি।[১৩] ভোটার-জনসংখ্যার এই অনুপাত বৃদ্ধি পশ্চিমবঙ্গকে তামিলনাড়ু রাজ্যের ঠিক আগে প্রথম স্থানে রেখেছিল।[১৪] |
Sale!
bhramansathi
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে জিতবেন কারা-শেষ হাসি কার ?|| 2016 Bidhānasabhā nirbācanē jitabēna kārā-śēṣa hāsi kāra?|| Who will win the 2016 assembly elections – who will have the last laugh
Original price was: ₹30.00.₹1.00Current price is: ₹1.00.
+ Free Shipping
Reviews
There are no reviews yet.